1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

কি “দিন–দ্যা ডে” আসলো, মানুষ ভালো’কে ভালো বলতে পারেন না! :নাইম ইসলাম নিবির 

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২
  • ২৮৬ Time View

কি “দিন–দ্যা ডে” আসলো, মানুষ ভালো’কে ভালো বলতে পারেন না!

— নাইম ইসলাম নিবির 

ব্যক্তিগত জীবনে আমি আপাদমস্তক একজন রাজনীতি মনস্ক মানুষ। আমার শৈশব কৈশোর সবকিছুকে ঘিরেই রাজনৈতিক আবহাওয়া বিরাজমান। যা বর্তমান সময়ে প্রবল আকার ধারণ করেছে। রাজনীতি আর জনগণের বাইরের বিষয়বস্তু নিয়ে আমি খুব একটা মাথা ঘামাই না অথবা আগ্রহ প্রদর্শন করি না। পরিচিতজনরা যখন আমার সামনে রাজনীতি বহির্ভূত আলাপচারিতা করে থাকেন আমি তখন অন্যমনস্ক কিংবা হ্যাঁ হু এর মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকি। তবুও কিছু বিষয় আছে যাতে না চাইতেও কিছু অভিব্যক্তি চলেই আসে। যেমনটি চলে এসেছিল এবারের ঈদ উল আয্হা উপলক্ষে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং স্বনামধন্য শিল্পপতি চিত্রনায়ক প্রযোজক জনাব অনন্ত জলিল এবং চিত্রনায়িকা বর্ষা অভিনীত ‘দিন দ্যা ডে’ চলচ্চিত্রটি মুক্তির পর। সিনেমাটি মুক্তির পূর্ববর্তী সময়ে এবং পরবর্তী সময়ে সিনেমাটি নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঙ্গনে নানান শ্রেণি পেশার মানুষের দ্বিজাতিতাত্ত্বিক মনোভাব আর সিনেমাটির চিত্রনায়িকা বর্ষার অশ্রুসিক্ত বেদনা নিয়ে নানাবিধ আলোচনা করবার জন্য আমার আজকের এই নিবন্ধটি আপনাদের জন্য রচনা করতে চলেছি।

ব্যক্তি জীবনে মানুষ বড়ই চতুর এবং কৌতুহলী পরায়ণ জীব। যেকোনো ঘটনা নিয়ে মানুষ আগ্রহ প্রকাশ কিংবা প্রদর্শন করে থাকতে ভালোবাসে। আর এটিই মূলত ধরণীর মানুষের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তবে এই কৌতুহল পরিচিত মানুষ জনের বিভিন্ন কর্মকান্ডকে ঘিরে হয়ে থাকে। কারণ অপরিচিত মানুষের কার্যকারণ নিয়ে মানুষ তেমন একটা আগ্রহ প্রকাশ করে না। ঠিক যতটা পরিচিতদের কর্মকান্ডে করে থাকে। আমাদের সমাজের প্রায় প্রতিটি মানুষই বিনোদন কিংবা সংস্কৃতি কাতর হয়ে থাকে। তাই তাদের যদি কখনও সুযোগ হয় তাহলে তারা নিজ নিজ সামর্থ্য বা সাধ্য অনুযায়ী নিজের সর্বস্ব দিয়ে সমালোচনা কিংবা অনুযোগ করতে শুরু করে দেয়। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই এধরণের মানুষের বিচরণ পাওয়া যায়। এবং তাদের এই সমালোচনা মূলত হুজুগ কেন্দ্রিক। অনেকটা চিলে কান নিয়ে যাওয়ার প্রাচীন কাহিনীর মতো। ধরুন আপনি হঠাৎ বলে উঠলেন যে পাঠ্যক্রম হতে ধর্ম শিক্ষার বই তুলে দেয়া হবে। অথবা লবণের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। দেখবেন কৌতুহলী মানুষজন ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের আগে ফেসবুক কিংবা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তুলে ফেলবে নতুবা মুদি দোকানে লম্বা লাইন ধরে ভিড় করবে এবং পুরো হুজুগে পড়ে এমনসব কান্ডকারখানা ঘটাবে যার বাস্তবের সাথে বিন্দুমাত্র মিল খুঁজে আপনি পাবেন না। এসব কথা বাদ দিয়ে এবার চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক।

প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই আমার আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু বুঝতে পেরেছেন। আমার আলোচনা শুরুর আগে আমি শিরোনাম প্রসঙ্গে দুটি কথা আরেকটু সহজ করে নিলে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হতে পারে। বর্তমানে ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে আপনারা সবাই কম বেশি বাংলা চলচ্চিত্রের খবরাখবর আমার চেয়েও বেশি ভালো জানেন। আমাদের বাংলাদেশের একজন সাধারণ তরুণ কিংবা তরুণী কিভাবে কোন প্রসেসে হতদরিদ্র হতে রীতিমতো তারকা বনে যান তার সবই আপনাদের অবগত। তাই এবিষয়ে আলোচনা করে আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করবার মতো দুঃসাহস আমি প্রদর্শন করতে চাই না। আপনারা জানেন এবছর ঈদ উল আয্হা উপলক্ষে বাংলাদেশে ‘দিন-দ্যা ডে’, ‘পরাণ’ ও ‘সাইকো’ নামের তিনটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। যার মধ্যে প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহ জুড়ে ‘দিন দ্যা ডে’ সগৌরবে দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছে। অন্যান্য সিনেমা গুলোও ভালোই দর্শক টেনেছে। তবে এই সিনেমা তিনটির পরিচালক প্রযোজক অভিনেতা অভিনেত্রী থেকে কলাকুশলীদের যোগ্যতার মাঝে যেমন রয়েছে নানাবিধ পার্থক্য তেমন রয়েছে দর্শকদের মাঝে তাদের পরিচিতির ভিন্নতা।

সিনেমা তিনটির মধ্যে অনন্ত জলিল ও বর্ষা অভিনীত ‘দিন দ্যা ডে’ চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অনন্য এক মাইলফলক। কারণ বাংলা চলচ্চিত্রে ‘দিন দ্যা ডে’ চলচ্চিত্রটির মতো এতো ব্যয়বহুল বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র এর আগে কখনও নির্মাণ সম্ভব হয়নি। যা অনন্ত বর্ষার মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। চলচ্চিত্রটি নির্মাণে শতকোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে বলে জনাব অনন্ত জলিল দাবি করেছেন। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাবার পর চলচ্চিত্র পাড়ার একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে তাদের অনুসারী কিংবা পরিচিত বেশকিছু ইউটিউবার ও সাংবাদিকদের দ্বারা টেলিভিশন ও পত্রপত্রিকায় নেগেটিভ রিভিউসহ সংবাদ প্রচার করে ‘দিন দ্যা ডে’ সিনেমাটির বারোটা বাজিয়ে দিতে অথবা সিনেমাটির স্বাভাবিক প্রদর্শনে ব্যাঘাত ঘটাতে মরিয়া হয়ে উঠে পড়ে লেগেছে।

আমাদের দেশে বহুকাল আগে থেকেই ঈদে সিনেমা মুক্তির প্রচলন রয়েছে। এবং মুক্তির পর বিভিন্ন প্রচার প্রচারণার একটি অংশ হিসেবে উক্ত সিনেমার নায়ক নায়িকা এবং পরিচালক বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহ কিংবা বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে থাকেন। দর্শক বা সিনেমা প্রেমী ভক্তদের মাঝে তাদের সিনেমার প্রমোশনের উদ্দেশ্যে। যার স্বাভাবিক ধারাবাহিকতায় আমার আলোচনার মূল সিনেমা ‘দিন দ্যা ডে’ মুক্তির পর চলচ্চিত্রটির প্রযোজক নায়ক অনন্ত জলিল ও বর্ষা সিনেমাটির প্রমোশন অথবা দর্শকদের প্রতিক্রিয়া বা অভিব্যক্তি সরেজমিন দেখবার জন্যে অধিক আগ্রহ নিয়ে যাবার পর যে অশ্রুসিক্ত বেদনার দ্বারা দ্রবীভূত হয়েছেন তা ছিলো তাদের ও আমাদের চিন্তা ভাবনার বহির্ভূত ঘটনা। প্রতিটি কারিগর বা নির্মাতার কাছে তার সৃষ্টি যেমন সন্তান তুল্য। তেমনি এই সিনেমাটিও জনাব অনন্ত জলিল ও তার সহধর্মিণী বর্ষার নিকট সন্তানের চাইতেও বেশি কিছু। সিনেমাটি মুক্তির পর এটি শতকোটি টাকা ব্যয়ের সিনেমা নয়, শতকোটি টাকা খরচ করলেই সিনেমা নয় না। সিনেমা চালাতে গল্প লাগে। সিনেমাটি ১০৯ টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পরেও সমালোচনাকারীদের কেউ কেউ প্রচার করতে শুরু করেন যে সিনেমাটি দর্শক টানছে না। কোনও কোনও চলচ্চিত্র পরিচালক জনাব অনন্ত জলিলের অবস্থান চতুর্থ শ্রেণির হিরোদের সাথে তুলনা করতে নেমে পড়েন। এধরণের নানাবিধ আলোচনা সমালোচনা নিয়ে বেশকিছু গুণিজন আওয়াজ তুলতে শুরু করে দিলেন।

প্রিয় পাঠক আপনারাই বিচার করুন যে সিনেমাটি নির্মাণে শতকোটি টাকা ব্যয় হয়েছে সেটি কি গল্পের ভিত্তিতে ব্যয় করা হয়নি। এছাড়াও এই সিনেমাটিতে যারা অভিনয় করেছে তাদের সবাই-ই বিদেশি শিল্পী। সিনেমাটির প্রায় সবগুলো লোকেশনই বিশ্বের সৌন্দর্যমন্ডিত স্থানে ধারণ করা। সিনেমাটি বেশকিছু রাষ্ট্রে প্রদর্শনের জন্য মুক্তি দেয়া হয়েছে। তাহলে এই সিনেমাটির নির্মাণ ব্যয় কি শুধু সিনেমা দেখে বলা সম্ভব? কারণ সিনেমা নির্মাণ করবার জন্য অ্যারেঞ্জমেন্টের ব্যয়টি কিন্তু দর্শকদের অজানাই থেকে যায়। এছাড়াও সিনেমাটি একযোগে বাংলাদেশের প্রায় ১০৯ টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে আর অন্যান্য সিনেমাগুলো ৩৩ টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। সুতরাং কোন সিনেমাটি দর্শক টেনেছে সেই বিচারে প্রেক্ষাগৃহ হিসেব না করে এই ৩৩ টি প্রেক্ষাগৃহের আসন সংখ্যা কত আর ১০৯ টি প্রেক্ষাগৃহের আসন সংখ্যা কত তার দিকে মনোযোগ দিলেই প্রকৃত ফলাফল বোঝা সহজ হবে বলে আমার বিশ্বাস।

এবার আসা যাক জনাব অনন্ত কত নাম্বার নায়ক কিংবা কতটা যোগ্যতা সম্পন্ন সে আলোচনায়। জনাব অনন্ত জলিল সাহেব একজন ব্যবসায়ী সুতরাং আমাদের দেশের অন্যান্য সিনেমা ব্যবসায়ী বা পেশাদার নায়কদের সাথে তাকে তুলনা করা নিছক মূর্খতা ব্যতিরেকে আর কিছুই নয়। কারণ তিনি ও তার সহধর্মিণী চিত্রনায়িকা বর্ষা সিনেমার দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করেন না। কিংবা সিনেমাকে পুঁজি করে দেশে বিদেশে অনৈতিক কর্মকান্ড করে বেড়ান না। অনন্ত বর্ষা নিজেদের পকেট ভাড়ি করবার উদ্দেশ্যে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কারও ক্ষতি সাধারণ করেন না। অনন্ত বর্ষা এফডিসিতে সমিতির নামে অপরাজনীতি করেন না। অনন্ত বর্ষা মদ গাঁজা ইয়াবা নিয়ে পত্রপত্রিকার শিরোনাম হন না। অনন্ত বর্ষা দেশে বিদেশে প্রমোদ ভ্রমণ করে অবৈধ অর্থ উপার্যন করেন না। অনন্ত বর্ষা সিনেমার মাধ্যমে রাতারাতি নব্যধনী হয়ে ওঠেন নি। অনন্ত বর্ষা নিজের ব্যক্তিত্ববোধকে লুটিয়ে দিয়ে নয় যথাসম্ভব নিজেদের দাম্পত্য জীবন আকড়ে ধরে রেখে শক্তিশালী ও ক্লিন ইমেজ ও ব্যক্তিত্ববোধকে বিশ্ব দরবারে প্রদর্শন করে বাংলাদেশকে ও নিজেদের সক্ষমতা জানান দিয়ে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে ভালোবেসে বাংলাদেশের শিক্ষিত মার্জিত শ্রেণির তরুণ প্রজন্মের হৃদয়ে নিজের একটি অবস্থান সৃষ্টি করবার উদ্দেশ্যে সিনেমা নির্মাণ করে থাকেন।

চলচ্চিত্র অভিনেতার বাইরেও জনাব অনন্ত জলিল সাহেব বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য একজন সফল ও সনামধন্য ব্যবসায়ী, শিল্পপতি এবং উদার মনের একজন নিদারুণ মানুষ। তার দেশি-বিদেশি ব্যবসার বাইরের অবশিষ্ট সময়টুকুতে তিনি বাংলা চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির সুদিনের স্বপ্ন দেখেন। নির্মাণ করবার চেষ্টা করেন বিশ্বমানের সিনেমা। এবং তার প্রায় প্রতিটি সিনেমাই বাংলাদেশের জন্য বিশেষ একটি সুনাম বহন করে থাকেন। কারণ তার নির্মিত সিনেমাগুলো মূলত বাংলাদেশের বাইরের বেশকিছু দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়ে থাকে। যার মাধ্যমে বহির্বিশ্বের বহু মানুষ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের পুলিশ রাজনীতি ও বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারেন।

শিক্ষা-দীক্ষা ও ব্যক্তি হিসেবে অনন্ত জলিল ও বর্ষা অত্যন্ত উঁচু মানষিকতার একজন ব্যক্তি তা আমার সাথে পাঠকগণও একমত পোষণ করতে বাধ্য হবেন। রাজনীতির বাইরে আমি যেসমস্ত মানুষের ব্যক্তিত্বের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করি তাদের মধ্যে জনাব অনন্ত জলিলের স্ত্রী বর্ষা অন্যতম। আমি প্রায়শই তাদের বিভিন্ন ইন্টারভিউ টেলিভিশনে দেখে থাকি। এবং বর্ষার কথা বার্তা বাচনভঙ্গি আমাকে আমার মেজ খালাতো বোন কুলসুমের কথা মনে করিয়ে দেয়। জনাবা বর্ষা যখন কথা বলেন আমি তার কথার মাঝে আমার বোন কুলসুমের ধ্বণি শুনতে পাই। জনাবা বর্ষা তার ‘দিন দ্যা ডে’ সিনেমা নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে দেখে কান্না কন্ঠে বলে ওঠেন – মানুষ কেনো ভালোকে ভালো বলতে পারে না! আসলে ভালোকে ভালো বলতে না পারার বহু কার্যকারণ থাকতে পারে। এবং ভালোকে ভালো বলতে না পারার আরেকটি কারণ হলো বদহজম কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে প্রায় সর্বত্রই সহজ ও সস্তা মূল্যে তৈলাক্ত খাবার ক্রয় বিক্রয় হয়ে থাকে। এবং সেসমস্ত তৈলাক্ত খাবার দাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে পরোটা, সিঙ্গারা, সমুচা, ডাল পুরি, আলু পুরি, পেঁয়াজু, পাকোড়া, বেগুনি, আলুর চপ, ডিম চপ, চিকেন চপ, চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ফিশ ফ্রাই, চিকেন বল, চিকেন সসেস, বিরিয়ানি, তেহারি, কাচ্চি বিরিয়ানি, মোরগ পোলাও, ইত্যাদি ইত্যাদি খাবার যদি কেউ নিয়মিত খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার বদহজম কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবার চলুন উল্লিখিত রোগের মধ্যে বদহজমের লক্ষ্মণ নিয়ে আলোচনা করা যাক। বদহজম হলে আপনার চোঁয়া ঢেকুর, বুকে পিঠে ব্যাথা ও মাথায় যন্ত্রণার সৃষ্টি হয়। আর এই মাথায় যন্ত্রণা থেকেই মূলত মানুষ ভালো মন্দ পার্থক্য করতে ব্যর্থ হন। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য চরমভাবে আক্রমণ করলেও মানুষের হিতাহিত জ্ঞান তুলনামূলকভাবে কমে আসে। তখনও মানুষ ভালো মন্দ পার্থক্য করতে হয় ব্যর্থ হন অথবা ভালো মন্দের পার্থক্য করবার মতো হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই উল্লিখিত তৈলাক্ত খাবার গুলো অধিক পরিমাণে খেয়ে থাকেন। যেহেতু মাস-খানেক আগেই রমজান মাস শেষ হয়েছে। আর আমাদের সবাই ইফতারিতে উল্লিখিত আইটেমগুলোই বেশি খেয়ে থাকে। সুতরাং ভালোকে ভালো বলতে না পারার কারণগুলোর মধ্যে এসবের বাইরে আমি আর কিছু খুঁজে পেতে সক্ষম হইনি।

প্রিয় পাঠক, এবার বিদায় নেবার পালা। পরিশেষে নিজের সম্পর্কে কিছু কথা বলে আলোচনা শেষ করছি। বর্তমান সময়কার রাজনীতি ও পরিস্থিতির নানা জটিলতা আমায় নিদারুণভাবে ব্যথিত করে তোলে। চলতে ফিরতে আগের মতো করে আর অনুপ্রেরণা পাই না। বয়সে নেহাত তরুণ হলেও মাঝেমধ্যেই বৃদ্ধাদের মতো বার্ধক্যের জটিলতা অনুভব করতে পাই। প্রায়শই মোবাইলটি বন্ধ করে একলা আনমনে গন্তব্যহীণ পথে ছুটে চলি। রাস্তার পাশে এলোপাথাড়ি অট্টালিকার কক্ষগুলোতে মানবিকতার অভাব স্পষ্ট দেখতে পাই। নিজের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সূচনালগ্ন থেকেই ধন-সম্পদ-কামনা-বাসনা-ভোগ-বিলাসের মোহময়তা আমার শরীর-মন-মস্তিষ্ককে উজ্জীবিত বা উত্তেজিত করে তোলেনি কখনোই। তবে কিছু মানুষের ভালো কাজ কিংবা সুন্দর ব্যক্তিত্ববোধ আমাকে উজ্জীবিত করে তোলে। ঠিক যেমনটি উজ্জীবিত করে তুলেছে অনন্ত-বর্ষা। আর তাই অনন্ত বর্ষার মঙ্গল কামনা করে কোনো এক জ্যোৎস্না রাতে অনন্ত জলিলকে সাথে নিয়ে বর্ষার ইলিশ পোলাও আহারের আশা ব্যক্ত করে আজকের মতো বিদায় নিলাম।

নাইম ইসলাম নিবির : প্রধানমন্ত্রীর স্নেহধন্য রাজনীতিক ও কলাম লেখক। 

nayemulislamnayem148@gmail.com

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..